শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৪৮ পূর্বাহ্ন
সম্প্রতি ভারতের মেদিনীপুর শহরের একটি গ্রামে একটি দুমুখো সাপের দেখা মিলেছে। পৌরাণিক কাহিনীতে বিশ্বাসী গ্রামের বাসিন্দারা কিছুতেই সাপটিকে উদ্ধার করতে দেয়নি। তবে প্রাণী বিজ্ঞানীরা বলছেন সাপটির আসলে জৈবিক সমস্যার কারণে দুই মাথা।
কুসংস্কারে বিশ্বাসী মানুষদের জোরাজুরিতে জোড়া মাথার সাপটিকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়নি বন বিভাগ। বন বিভাগের সরীসৃপ বিশারদ কৌস্তভ চক্রবর্তী জানান, তিনি সাপটিকে কিছুতেই উদ্ধার করতে পারেননি।
কৌস্তভ আরো জানান, ‘পৌরাণিক কাহিনীতে বিশ্বাসী গ্রামের বাসিন্দারা কিছুতেই এই সাপটিকে বন বিভাগের কাছে তুলে দিতে চাননি। এটি সম্পূর্ণরূপে একটি জৈবিক সমস্যা। আমরা অনেক সময়েই দেখি একজন মানুষের দুটি মাথা, বা দুটো বুড়ো আঙুল রয়েছে। একইভাবে এই সাপেরও দুটি মাথা রয়েছে। এর সঙ্গে পৌরাণিক বিশ্বাসের কোনও সম্পর্ক নেই। এর মধ্যে অলৌকিকতার কিছু নেই। এ জাতীয় প্রজাতিকে আলাদা করে রাখলে তাদের আয়ু বৃদ্ধি পায়। সংরক্ষণ করা হলে এই সাপের আয়ু বাড়ানো যেতে পারে।
প্রাণিবিজ্ঞানী সোমা চক্রবর্তীর মতে, দুই মাথাওয়ালা এই সাপ ন্যাজা কটিয়া প্রজাতির অন্তর্ভুক্ত। এই প্রজাতির সাপকে বাংলায় খড়িশ সাপও বলা হয়ে থাকে, হিন্দিতে কেউটে বলা হয়। আবার এই সাপেরই বিষ থাকলে সেটিকে কালনাগ নামে ডাকা হয়। এই ক্ষেত্রে কোনও পৌরাণিক বিষয় নেই। এর মধ্যে অলৌকিক বা ঐশ্বরিক কিছু নেই। সাপের দুটি মাথা হওয়ার পিছনে অনেকগুলিই কারণ রয়েছে। হতে পারে ভ্রূণের বিভাজনের সময় মাথা দুটো হয়ে গিয়েছে। আবার কিছু পরিবেশগত কারণেও দুমুখো হওয়া সম্ভব।
সূত্র: এনডিটিভি